নাহ্ এ বছর ও রঙ খেলা বোধ হয় আর হবেনা। বছর খানেক আগে অতিমারি রুখতে যে গৃহবন্দি জীবন শুরু হল, সে ও ছিল এক দোলে র ই সময়। রঙ, আবির কেনা বা অনান্য প্রস্তুতি তখন ও বেশ দুরে, তার আগেই দেখা দেখি বন্ধ, মেলমেশা বন্ধ এবং ‘চুপটি করে মুখটি বুজে থমকে থেমে থাক’ এর জীবন শুরু।নতুন একটা জিনিস এর আমদানি তে মনুষ্য সমাজে র একটা বড় অংশ ভীত, তবুও আহ্লাদিত। এটা তো বেশ ভালো! সব উৎসব অবাহ্যঃফলত মাধ্যমে উদযাপনের হিড়িক। তাই ওই মাধ্যমে সুন্দর করে সেজেগুজে, গালে একটু রঙ লাগিয়ে ছবি তুলে ভাসিয়ে দেওয়া হল। সাথে বিজয়ী র হাসি আমাদের রোখে কে!! কিন্তু রঙ তো কেনাই হয়নি, এল কোত্থেক? হু হু বাওয়া এর নাম মানুষ, তায় বাঙালী। রান্নাঘরে র হলুদ গুঁড়ো আর দিদি, বৌদি দের সিঁদুর, আবির এর পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হল। কি ভাগ্যি কেউ ভুল করে লঙ্কা গুঁড়ো নিয়ে আসেনি। কিন্তু সমাজ বদ্ধ জীবের থেকে যদি সমাজ টাই কেড়ে নেওয়া হয় তবে এক সময় তার ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ র অবস্থা হয়। তখন কোন কিছু ই আর ভালো লাগে না। আমার মনে হয় সেটা শুরু হয়ে গেছে। তাই রঙ-এর উৎসব যে এসে গেছে সেটাই মাঝে মধ্যে ভুলে যাবার যোগাড়। মনে হয় যেন ‘বাতাসে না বহে প্রেম, নয়নে না লাগে নেশা কারা যেন বলে গেল বসন্ত ধসে গেছে।’ কিন্তু প্রকৃতি তার নিয়মে জানান দেয় , শীতের জড়তা কাটিয়ে গাছে গাছে নতুন পাতা, নতুন নতুন রঙীন ফুল দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে বলে যে “বসন্ত এসে গেছে।”বাড়ির পাশে র উদ্যান টায় সেই রঙ উপভোগ করতে চললাম।আর IGNITE Bong এর পক্ষ থেকে আশা করব যাতে আপনারাও নিজের মতন করে রঙীন হয়ে উঠতে পারেন। শুভ দোল যাত্রার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।